সোমবার, ১৯ জুলাই ২০২১, ০৭:৩৩ অপরাহ্ন
শুভ্রনীল সাগরের কবিতা
সৃষ্টিতত্ত্ব
ছেড়ে আসলে আসতে হতোই…
আমরা আদতে আলোক-স্বভাবী
মহাজাগতিক ধূলি-জন্মে –
যে যার ছায়াপথে ছুটছিলাম..
যেভাবে নক্ষত্র-নীহারিকা কাছে আসে,
তেমনই অমোঘ আকর্ষণে –
স্বীয় কক্ষ-দূরত্ব থেকে একে-অপরকে ছুঁয়ে গেছি…
এ এক অবিনাশী ঘূর্ণন
নিযুত জাতক-জীবন পেরিয়ে কাছে আসা..
আমরা হাত ধরি,
হাঁটি ও চুমু খাই..
এরপর..
ছেড়ে তো যেতেই হয়..
এরপরও..
তাপীয় মৃত্যু শেষে
কামিনী গন্ধে জন্মাবো তুমি-আমি..
আবর্তনিক আক্ষেপে,
আবারও একে-অন্যকে অতিক্রম করে চলে যাবো…
________________________________________
জন্মান্তর
জল না থাকলেও নদীকে বয়ে যেতে হয়
নদীর কোলঘেঁষে থাকতে হয় প্রতীক্ষিত পাহাড়..
পাহাড়ে হাঁটুমুড়ে বসে থাকো তুমি
তোমার শরীরে জড়ানো শিমলতা..
জাতক-যন্ত্রণা পেরিয়ে,
পাঁচশো পঞ্চাশতম জন্মে
আমি ফুটে উঠবো শিমের বেগুনী ফুল
এবং ঝরে পড়বো অনাদি আলোর মাদুরে…
________________________________________
পরিপ্রেক্ষিত
আবারও এসেছে আষাঢ়
প্রতিটি বরষাকাল আমাদের ব্যবধান
আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে..
হয়তো সবকিছুর মতো এরও
এক বা একাধিক প্রতীকী মাত্রা রয়েছে..
এক মাত্রায় আমরা অভিন্ন, অমোঘ..
দুই মাত্রায় তুমি-আমি জেগে উঠছি ভিন্ন কোনো সকালে…
________________________________________
স্থানাঙ্ক
পর্দা বেয়ে সবুজ নেমে
ছড়িয়ে পড়ছে ঘর-বারান্দা-শহরে..
কেউ কি বুঝতে পারছে –
সে আমাকেও সঙ্গে করে নিয়ে গেছে?
কুঁচি কুঁচি করে ছিটিয়ে দিচ্ছে
নব পত্র-পল্লব-প্রিয়তায়..
আর তুমি –
বলতে গেলে কাছে কিন্তু মোটেও নিকটবর্তী নও
পুড়ছো সীমিত সবুজ আগুনে,
আমাকে পেতে পারতে সহজ-সুলভ..
কিন্তু বরষাকালীন পরিবর্তিত দৃশ্যপটে,
তোমার-আমার বিস্তৃত ব্যবধান নিশ্চিতপূর্বক
কদিন বাদেই আমি দেখা দেবো কদম-কুঁড়িতে…