বৃহস্পতিবার, ১৪ অক্টোবর ২০২১, ০৮:৩৯ অপরাহ্ন
তন্ময় হাসানের কবিতা
ঘাসবনে নামা সন্ধ্যা
রঙ্গনে সাজায় তোলো বুকের বামপাশ। কবিতা পইড়া একটু যা শিখছো, সেই নন্দনতত্ত্ব দিয়ো একটু ঠোঁটে। আকাশ হইতে চাইলে আকাশী রঙ এর ব্যবহার ভালো। করতে পারো। কফিনের কাঠে পেরেক সাজাইতে সাজাইতে ভাবি কেমন হাঁসের মত টলমল কইরা ভাসি। নৌকা ক্যামনে পাক খায় থ্রি সিক্সটি ডিগ্রী। আমার চোখের ভেতর হলুদ কমলা ল্যানটানা শীঘ্রই শহর দখলের সংগ্রামে নামবে।
শীঘ্রই কারন আঁধার তার ঘটিবাটি নিয়া অপেক্ষা করতেসে নামার। আসমান হইতে যে আন্ধার আমাদের কাছে আসে, তারে মুঠ কইরা নিতে পারো তুমি। কি আশ্চর্য সব ফুলের রঙ তোমার হাতে আটকায় আছে। এই আগ্রহ নিয়ে আমি হাতের দিকে যাই। আঙুল বেয়ে বেয়ে আঙুলে উঠি। রঙের তীব্রতা সম্পর্কে জ্ঞান বাড়ে। সব রঙ থেকেই কালো হয়ে ফিরতে হয়।
আসামী
একটা হাইপার সেন্সিটিভ রাষ্ট্র তোমার হৃদয় ভাঙার দায়ে,
অভিযুক্ত আমাকে মেহগনি কাঠের কাঠগড়ায় দাড় করায়।
দায়রা জাজ আমাকে দোষী সাবস্ত করে পাঠায় নীলকন্ঠ জেল।
কোন নীল নাই তবু নীলকন্ঠ,
কোন সুর নাই তবু গান,
পৃথিবীর কোন জেলই তোমার চোখের মত একাকী না।
শিবরাত্রির মাতমে আমার কোন বেউলা বাতাস হওয়ার কথা,
তবু কেমন যেনো শুধু চোখের ভেতর ঢুকে বসে আছি অনন্তকাল।
ভুলে যাওয়া
ক.
তার কথা মনে পড়ে, ঘটা কইরা না, র্যান্ডম।
তারে মনে পড়লে কল্পনায় ঘোড়সাওয়ারী কইরা
আরো তিনডা স্বপ্ন আসে।
স্বপ্নেরা যাইতে চায় অন্ধের মত,
অন্ধত্বের দিকে, শুধু যাইতে পারে না।
ঘোড়ার পা বাঁধা থাকে দশ দিক ভেঙে আসা ঘুমে।
খ.
শবনমরে ভুইলা যাও,
অর উইথড্রল সিনড্রোমের কথা,
দুপুর রাইতে ভাতের সাথে চিন্তা কইরা দেখো।
কলমি শাক খাও নাই কয়েকবছর!
গভীর ঘুমে থেকে একটা একটা কইরা তোলা
শাক রান্না করো কাতল মাছ দিয়ে।
একটা খাবারের স্বপ্ন দিয়া
শবনমরে ভুইলা ফালাও।
গ
তোমার চইলা যাওয়ার কথা মনে পড়ে,
শহর তখন আমার শরীর।
একটা একটা কইরা হাত পা খুইলা যাওয়ার আনন্দ পাইতেছি।
তুমি চইলা গেলে
কিংবা এইসব হাতপা চইলা গেলে
আমি হবো একটা স্থির বটগাছ।
তুমি অদৃশ্য হওয়ার আগ পর্যন্ত দেখছিলাম, শবনম।
বুকের হাড় খুলে বেরিয়ে যাচ্ছিলো পাখি,
অন্তঃসার শূন্য, মাংসের দলা নিয়ে হেটে যাচ্ছে কসাইয়ের কাছে।
আমাকে দাড়িপাল্লায় তোলো হে মহান কসাই,
কেটে ফেলো আমার সমস্ত অহংকার।
আমাকে শূন্য করে বিলায়ে দাও ক্ষুর্ধাত কুকুরের দিকে।