মঙ্গলবার, ৩০ মার্চ ২০২১, ০৬:৫৩ অপরাহ্ন
রুম্মানা জান্নাতের কবিতা
‘মিস করি’ সিনট্যাক্সের বাইরে, তোমাকে—
১১.
একটা মৃত্যু কচ্ছপের অধিক উল্টে পড়ে আছে।
এতদূর এসেছি।
যদি একটা কবিতা না হয়!
তোমার ব্যথার তীব্রতা ফেটে কোনো রোদ উঠছে না। দড়ি ছেঁড়া গরুর সমান উৎকন্ঠা লাগে। সারাদিন কুয়াশা দেখি। তোমাকে বলি, একদিন মুখোমুখি, যমুনার চর— সরিষার ঘ্রাণ আউলানো বাতাস!
আমাদের কোনো বিকাল শেষ হবে না। কোনো কথা— ক্ষুধার মতোন মমতাময়ী সন্ধ্যা— শৈশব হারানো বাড়ি— কোনো কথা বলা যাচ্ছে না!
ঘুমের শীত কুঁকড়ে ওঠে
আমি কেন তোমাকে ডুকরে ডুকরে কাঁদি না, পাখি?
১২.
আমি যেভাবে চেয়েছি, তুমি সেভাবেই সবজি কাটো।
শরীরে— বিবাহের মৌসুম— কাঁটা দিয়ে ওঠে—
বাহারি পর্দা নেই বলে রোদ পোহানোর কথা ভাবি।
রজনীগন্ধা শুধু ফুল নয় আর, যাত্রাবিরতির ধুলা, আমাদের প্রাসঙ্গিক বিকাল।
কিছু কিছু সন্ধ্যাকে আমরা ব্যক্তিগত রাতের নিকটবর্তী করেছি। অন্তর্লীন ঢেউয়ের ভঙিমা নয়, চেয়েছি— শহরের ধারঘেঁষে কলমির ঘ্রাণ ভালো লাগুক।
তুমি জানো, হাঁটা পথ শেষ, সারারাত ঘুমের কাছাকাছি
খাঁচাহীন অরণ্য জেগে রাখি।
১৩.
পাহাড়ে গেছি, সমুদ্রে!
অতটা কবিত্ব পারি না জেনে, সমতল ভালোবাসি।
যে ছবিটা আঁকতে চেয়েছি
তার শাদা ফ্রেমে চাইনিজ সামার লেগে যায়
না আঁকা ফুফুর বয়স তালাকের সমান দীর্ঘ হয়ে আসে।
কোন প্রসঙ্গ নাই।
তবু মৃত্যুর কাছে— কেন দৃশ্যত থাকি?
পাখি—?
তোমার উপস্থিতি এত মওসুমি—
উদযাপিত করে গেছি প্রতিটা অক্ষর
কাকের চোখের মতো শ্রুত—এক শোকবাহী বাতাস লেগে থাকে—তোমার না থাকা শীতে—
দূর্গাদহ মাঠ দেখেছি, শামুকের চোখ!
নিকটে সৈকত বুঝি না জেনে, বিবাহের কবুল ডেকে উঠি—