বৃহস্পতিবার, ১৪ অক্টোবর ২০২১, ০৫:১০ অপরাহ্ন
নীলচে অন্ধকার
এক
সকালবেলা স্কুলে যাওয়ার জন্য তৈরি হয়েছে প্রান্ত। ওর বড় বোন ইসরাত এসে দুইটি পঞ্চাশ টাকার নোট হাতে দিয়ে বলে, একটা যেন সে নিজের কাছে রেখে দেয়, আরেকটা যেন যাওয়ার সময় মসজিদের দানবাক্সে ঢুকিয়ে দিয়ে যায়।
ইসরাত অনার্সের ছাত্রী। সে আজকে বড় খালার বাসা সিরাজগঞ্জে যাবে বেড়াতে। প্রান্ত বের হয়ে যাচ্ছিলো প্রায়, এই সময় ওর মা এসে কিছুক্ষণ আগে কয়েকবার বলা একটি কথা আবারও মনে করিয়ে দেন প্রান্তকে। কথাটি হলো–টেবিলের ওপর ভাত আর ফ্রিজে তরকারি রাখা থাকবে। প্রান্তর কাজ হচ্ছে স্কুল থেকে ফিরে গোসল সেরে তরকারিগুলো একটু গ্যাসের চুলোয় গরম করে নিয়ে খাওয়া।
দারুণ আলসে ছেলে প্রান্ত। সামান্য পরিশ্রমেই কাহিল হয়ে যায়। এ-কারণে এক কথা এতবার করে বলা। কারণ ইসরাত সিরাজগঞ্জের উদ্দেশে বেরিয়ে যাওয়ার পর প্রান্তর মা একটু বাইরে যাবেন। বাইরে যাবেন বলতে ঠিক কোথায় যাবেন তা প্রান্ত জানে না। জিজ্ঞেসও করেনি। কখনো জিজ্ঞেস করলে মা ধমক দেন : বাচ্চামানুষ বড়দের ব্যাপারে এত প্রশ্ন করবে কেন? প্রান্তর ধারণা মা সম্ভবত নাজ আন্টির বাসায় যাবেন। তার মানে সন্ধ্যার আগে ফিরবেন না। নাজ আন্টি মানুষটা কাঁঠালের আঠার মতো। লাগলে সহজে ছাড়তে চায় না।
স্কুলব্যাগ কাঁধে করে বাসা থেকে বের হয় প্রান্ত। একটু হাঁটলেই রাস্তার ডান পাশে মসজিদ। আর মসজিদে ঢোকার দরজার পাশে দানবাক্সটা, যেখানে লেখা—মুক্ত হস্তে দান করুন। দানবাক্সের কাছে গিয়ে প্রান্ত থামে। কী একটা চিন্তা করে। তারপর আবার হাঁটতে শুরু করে আগের গতিতে। পঞ্চাশ টাকার দুটো নোটই তার পকেটে থেকে যায়।
হেঁটে সে রিচার্ডদের বাসার সামনে চলে আসে। রাস্তা থেকে রিচার্ডের নাম ধরে কয়েকবার ডাক দেয়। ভেতর থেকে স্কুল-ব্যাগ কাঁধে বেরিয়ে আসে রিচার্ড গোমেজ।
রাস্তায় একসাথে হাঁটতে হাঁটতে গল্পের ফোয়ারা ছোটে তাদের মধ্যে। স্কুলের ফিজিক্স টিচারের কথা ওঠে। ফিজিক্স টিচার তার কাছে প্রাইভেট না পড়লে ক্লাসে বিভিন্নভাবে হয়রানি করেন। অন্য ছেলেমেয়েদের দেখাদেখি প্রান্ত একদিন গিয়েছিলো সেই টিচারের বাসায় প্রাইভেট পড়ার জন্য। ওই একদিনই। কারণ সেই টিচার স্কুলে যেমন আপনমনে হোয়াইটবোর্ডে একের পর এক সমীকরণের সমাধান নির্ণয় করে যান, কোনো স্টুডেন্ট বুঝলো কি বুঝলো না তার কোনো ধার ধারেন না, সেই একইভাবে প্রাইভেটেও তিনি ক্লাস নেন। একদিন গিয়ে আর না যাওয়ায় প্রান্তকে ক্লাসে বেশ মানসিক টর্চারের শিকার হতে হয়।
গল্পে গল্পে গতকাল সন্ধ্যার প্রসঙ্গ ওঠে। সেই প্রসঙ্গ ধরেই আসে ওদেরই আরেক ক্লাসমেট ফারদিনের নাম। ফারদিনের বাসায় বেডরুমের সাথে লাগোয়া বেলকনির কথা ওঠে। আর ওঠে সেই বেলকনি থেকে পশ্চিমের বিল্ডিং-এর তিন তলার একটা জানালার কথা। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর অন্ধকার বেলকনিতে গিয়ে দাঁড়িয়ে সেই জানালায় চোখ রাখলে জানালা দিয়ে দেখা যায় একটি অন্তর্বাস পরে থাকা মেয়েকে। মেয়েটা ওদের থেকে বয়সে বড়। প্রান্তর বোনের কাছাকাছি বয়সের।
জুন মাসের সন্ধ্যাগুলোয় প্রচুর গরম পড়ে। সন্ধ্যার পর, ওই জানালা দিয়ে দেখা যায় সেই মেয়েটা সব কাপড়চোপড় ছেড়ে শুধু আন্ডারগার্মেন্টস পরে বিচরণ করে রুমের ভেতর। সেখানে মেয়েটা হাঁটাহাঁটি করে, কখনো বা পড়ার টেবিলে বসে পড়াশোনা করে। তার শরীর থাকে অনাবৃত। সেটাই দেখানোর জন্য গতকাল সন্ধ্যায় ফারদিন ওদের বাসায় ডেকেছিলো প্রান্তদের। নিজের রুমের বেলকনি থেকে এরকম দৃশ্য উপভোগ করার সৌভাগ্য দেখে, কাল সন্ধ্যায় ফারদিনকে খুব ঈর্ষা করেছিলো প্রান্ত।
রিচার্ডের সাথে এই প্রসঙ্গে বিস্তর আলাপ হয়। প্রান্ত ভাবে, আজকে তো আপু বাসায় নেই, আম্মুরও আসতে আসতে রাত হয়ে যাবে। সন্ধ্যাটা ফারদিনের বাসায় গিয়ে কাটালে কেমন হয়!
দুই
বাংলার টিচার সুবর্ণা মিস ব্যাকরণের ক্লাস নিচ্ছেন। সামনের বেঞ্চের ছেলেমেয়েরা মনোযোগ দিয়ে লেকচার শোনার ভান করছে। মাঝের দিকের বেঞ্চে বসা সোহানার সাথে পেছনের বেঞ্চের রাফি কী যেন দুষ্টুমি করেছে। মুখ টিপে টিপে হাসছে সোহানা। পেছনের দিকে বসা মৃন্ময় খাতার ওপরে আপনমনে আঁকিবুঁকি করে চলেছে। আর তার পেছনের বেঞ্চে ফোনের সাউন্ড মিউট করে পর্ন দেখছে আরাফ। টিফিনের পরের এই বোরিং ক্লাসগুলোতে মনোযোগ ধরে রাখাটা মুশকিল।
আরাফের পেছনের বেঞ্চে বসা প্রান্ত অনেকক্ষণ থেকে আরাফের সাথে কনট্যাক্ট করার চেষ্টা করতে করতে এবার কলম দিয়ে আস্তে করে খোঁচা মারে ওর পিঠে। একরাশ বিরক্তি নিয়ে পেছনে ফিরে তাকায় আরাফ। প্রান্ত চাপা গলায় বলে, ‘দিবি কিন্তু।‘
বিরক্ত হয়ে আরাফ বলে, ‘শেয়ারইট অন কর্।’
প্রান্ত : না, মেমোরি দিবি।
আরাফ : নিস। এখন চুপ থাক।
সুবর্ণা মিস খেঁকিয়ে ওঠেন, ‘এই আরাফ আর প্রান্ত দাঁড়াও।’
তাড়াহুড়ো করে ফোনটা লুকিয়ে ইতস্তত করে উঠে দাঁড়ায় আরাফ। প্রান্তও দাঁড়ায় পেছনে। সুবর্ণা মিস বলেন, ‘ক্লাস শেষ হওয়া পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকো।’
আরাফ একবার ঘাড় ঘুরিয়ে তাকায় প্রান্তর দিকে। ওর চোখে আগুন ঝরছে। প্রান্ত আরাফের দিকে চেয়ে বিব্রতভাব কাটাতে বোকা বোকা হাসি হাসে।
বাকি ক্লাসটা দাঁড়িয়েই থাকতে হয় ওদের দুজনকে।
ক্লাস শেষে বেল পড়তে সুবর্ণা মিস চলে যান। আরাফ প্রান্তর দিকে তাকিয়ে ফিসফিসিয়ে বলে, ‘মাদারচোদ।’
প্রান্ত হেসে বলে, ‘সরি মামা।’
স্কুল ছুটি হওয়ার পর আরাফের থেকে মেমোরি কার্ডটা নিয়ে প্রান্ত বাসার দিকে রাস্তা ধরে। এই এলাকায় ওরা নতুন এসেছে। প্রান্তর বাবা চট্টগ্রামে থাকেন। মা আর বড় বোনের সাথে থাকে প্রান্ত। বোনটা আজ সকালে বড় খালার বাসা সিরাজগঞ্জে বেড়াতে গেছে। সকালবেলা মা গেছেন সম্ভবত নাজ আন্টির বাসায়। নাজ আন্টি প্রান্তর মায়ের কেমন যেন বোন হয়। মা যাবার আগে খাবারদাবার ফ্রিজে রেখে গেছেন। প্রান্তকে বলেছেন গ্যাসের চুলা জ্বালিয়ে খাবার গরম করে খেয়ে নিতে। ফিরতে তার সন্ধ্যা হবে। প্রান্ত জানে মায়ের ‘সন্ধ্যা মানে রাত আটটা সাড়ে আটটা।
গলিতে ঢোকার আগে একটা মুদির দোকান। সেখান থেকে প্রান্ত চারটা সিগারেট কিনে নেয়। এমনি সে ধূমপায়ী নয়। আজকে বাসা ফাঁকা আর আরাফের মেমোরিকার্ডটা পকেটে, সাথে সিগারেট হলে মন্দ হয় না।
বাসার তালা খুলে সে ভেতরে ঢোকে। রুমে ঢুকে তার আর তর সয় না। ব্যাগটা টেবিলে ছুঁড়ে দিয়ে পোশাক না বদলিয়েই চেয়ার টেনে বসে পড়ে সে। পকেট থেকে ফোনটা বের করে খুব যত্ন করে ফোনের মেমোরি কার্ডটা খুলে আরাফের মেমোরিটা ঢোকায় তাতে। ফোন অন হতে সময় নেয়। এই ফাঁকে রান্নাঘর থেকে লাইটার নিয়ে আসে প্রান্ত। বাসায় কেউ নেই যদিও, তবু আরও নিরাপদ বোধ করার জন্য দরজার সিটকিনিটা লাগিয়ে দেয়। ফোনের গ্যালারি ওপেন করতেই রাশি রাশি পর্নোগ্রাফির ভিডিয়ো চলে আসে ফোনের স্ক্রিনে। ফোনে হেডফোন লাগিয়ে একটার পর একটা ভিডিয়ো প্লে করতে থাকে প্রান্ত। কোনোটাই পুরোপুরি দেখে না। দেখে কেটে কেটে। সেই সাথে সিগারেটে ধরায় আগুন। এভাবে সিগারেট টানতে টানতে অনেকগুলো ভিডিয়ো দেখা হয়ে গেলে ফোন সাথে নিয়ে প্রান্ত বাথরুমে ঢোকে। মিনিট দুয়েক পর ক্লান্ত শরীর নিয়ে বেরিয়ে আসে সেখান থেকে। পেটে ক্ষুধার টান লাগে।
ফোনটা চার্জে লাগিয়ে দিয়ে স্কুলের ইউনিফর্ম খুলে রেখে তোয়ালে কাঁধে করে আবার বাথরুমে চলে যায় প্রান্ত, গোসল করার জন্য। শাওয়ার ছেড়ে দেয়। ঠান্ডা পানির প্রবাহ এসে পড়তে থাকে প্রান্তর তপ্ত শরীরে। ধীরে ধীরে শরীর আর মন শীতল হয়ে আসে।
গোসল শেষে তোয়ালে জড়িয়ে বেরিয়ে আসে বাথরুম থেকে। ফোনের স্ক্রিনে আলো জ্বলে আছে। ফোন হাতে নিয়ে প্রান্ত দেখে ওর মা কল করেছিলেন দুইবার। মাকে কল করে প্রান্ত। ওপাশ থেকে মা জিজ্ঞেস করেন, স্কুল থেকে ফিরে সে গোসল করে ফ্রেশ হয়েছে কী না। তারপর ফ্রিজের ভেতর কোন্ খাবার কী অবস্থায় ঢেকে রাখা আছে সেসব বলেন।
ফোন রেখে দিয়ে প্রান্ত কাপড়চোপড় পরে নিয়ে ফ্রিজ খুলে মায়ের নির্দেশমতো খাবারগুলো বের করে আনে। মাছের তরকারিটা গরম করে নিতে বলেছিলো মা। প্রান্ত সেগুলো গরম করার ঝামেলার দিকে যায় না। ঠান্ডা ভাত-তরকারিই প্লেটে বেড়ে নিয়ে খেতে বসে। জমে থাকা মাছের ঝোল দিয়ে ভাত মেখে পুরো দেড় প্লেট ভাত সাবার করে দেয় সে। ক্ষুধাটা ভালোই পেয়েছিলো।
খাওয়া শেষ হলে এঁটো থালা আর গ্লাস নিয়ে গিয়ে রাখে কিচেনের সিঙ্কে। তারপর নিজের রুমে এসে আবার দরজার সিটকিনি লাগিয়ে দিয়ে দ্বিতীয় সিগারেটটাতে আগুন ধরায়। ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে আবার হাতে তুলে নেয় ফোন। ফোনের ভেতরে আছে আরাফের মেমোরি কার্ড।
সহসা ফারদিনের বাসায় গতকাল সন্ধ্যার কথা মনে পড়ে ওর। আজকেও ওখানে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যে জিনিস ওর কাছে এখন আছে তাতে আর ফারদিনের বাসায় যাওয়ার কোনো দরকার নেই।
ফারদিনের বেলকনির কথা মনে পড়ায় প্রান্তর শরীরে রোমাঞ্চ জাগে। তাড়াতাড়ি করে ফোনের গ্যালারিতে ঢুকে পড়ে সে। সিগারেটে টান দিতে দিতে একেকটা ভিডিয়ো ওপেন করে। দিনের পর দিন তো এরকমই একটা মুহূর্তের জন্য চাতকের মতো চেয়ে থাকতো প্রান্ত। আব্বু, আম্মু, আপু—কেউই নেই বাসায়। আছে শুধু ফোন, সিগারেট আর আরাফের মেমোরি কার্ড। আহা! এরকম সুযোগ যদি প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার করে আসতো!
সব ভিডিয়ো-ই প্রান্ত গোগ্রাসে গিলতে থাকে। দেশি আর বিদেশি মিলে কত্ত ক্যাটাগরির ভিডিও সব। এগুলোর মধ্যে দেশি ভিডিয়োগুলোই প্রান্তকে বেশি প্লেজার দেয়। সাদা চামড়ার বিদেশিগুলোকে কেমন প্লাস্টিকের পুতুলের মতো লাগে। ওদের সবকিছুকে ভীষণ যান্ত্রিক বলে মনে হয় ওর কাছে। তার চেয়ে দেশি ভিডিয়োগুলো কত রিয়েলিস্টিক! প্রতিদিন বাসা থেকে বের হলেই এরকম চামড়ার নর-নারীদের দেখা যায় সবখানে। ধরাছোঁয়ার মধ্যেই থাকে তারা। যেখানে বিদেশিরা শুধুই কল্পনা।
আরাফের মোমোরিকার্ডে ভিডিয়োগুলোকে দেশি এবং বিদেশি ক্যাটাগরির ভিত্তিতে আলাদা আলাদা ফোল্ডারে রাখা আছে৷ দেশি ভিডিয়োর ফোল্ডার ওপেন করে তাতে ডুবে যায় প্রান্ত। বাংলাদেশ আর ইন্ডিয়ার কালো আর ফর্সা মিলে অসংখ্য মেয়ের নগ্ন শরীর। প্রান্তর এসব কী যে ভালো লাগে!
তিন
একটার পর একটা ভিডিয়ো দেখতে দেখতে সাত মিনিট ষোলো সেকেন্ডের একটা ভিডিয়ো একটু আলাদা করে মনোযোগ কাড়ে প্রান্তর। কী যেন একটা চোখে এসে লাগে খচ্ করে। প্রান্ত সে ভিডিয়োটা আবার প্রথম থেকে চালু করে। ভিডিয়োতে যে-পুরুষ লোকটিকে দেখা যাচ্ছে তার দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ হয় ওর। ভিডিয়োর যে অংশটিতে লোকটার মুখমণ্ডল তুলনামূলক স্পষ্ট দেখা যায় সেই অংশটা বার বার সে প্লে করে। জুম করে দেখে। উদ্বেগে হৃদ্স্পন্দন বেড়ে যায় প্রান্তর। কয়েকবার দেখার পর সে সিদ্ধান্তে আসে। লোকটাকে চেনে প্রান্ত। ওদের আগের বাসাটা যেখানে ছিল, লোকটার বাসা সেখানেই। প্রান্ত নিশ্চিত হয়, এটা সেই লোকই। যার কারণে প্রান্তর মায়ের সাথে ওর বাবার প্রায়ই ঝগড়া হতো। এই লোকটার জন্যই ওর বাবা বাসা বদল করে এখানে এসে উঠেছেন।
বুকের ভেতর হৃৎপিণ্ডটা তড়পাচ্ছে যেন। কে জানে কেন ভিডিয়োর পরবর্তী অংশ দেখার আর সাহস হচ্ছে না প্রান্তর। তবুও ঘোরগ্রস্তের মতো ফোনের স্ক্রিনে চোখ দুটি আটকে আছে। রুমের আসবাবপত্র আর সাজসজ্জা দেখে রুমটাকেও চিনতে পারে সে। ওদের আগের বাসার এই রুমটা ছিলো ওর বাবা-মায়ের বেডরুম।
প্রান্ত ঘামতে শুরু করে। একটা চিনচিনে অনুভূতি হয় বুকের ভেতর। ভিডিয়োর নারীটিকে আর দেখতে চায় না সে। তাড়াতাড়ি ভিডিয়ো অফ করে ফোনটা রেখে দেয় বিছানায়। নিঃশ্বাস ছোট হয়ে আসে ওর। ঘেমে উঠতে থাকে পুরো শরীর। ধমনিতে রক্তের প্রবাহ বেড়ে যায়। অসুস্থ বোধ করে প্রান্ত।
সেই সন্ধ্যায় আর বাতি জ্বলে না প্রান্তদের বাসার কোনো রুমে। প্রগাঢ় নীরবতার চাদর ছিন্ন করে কলিংবেলটা বেজে ওঠে।