বৃহস্পতিবার, ১৪ অক্টোবর ২০২১, ০৪:৪৭ অপরাহ্ন
ইয়ার ইগনিয়াসের কবিতা
প্রতিসরণ
মন্দাকিনীর ধারার মতো মানুষ চলেছে ছুটে
এক অপ্রকট শকটের পিছু; শ্বাস কেটে কেটে
চিরকাল। মৃণ্ময় মলাটে খুচরো কয়েন-মতো
হচ্ছে জমা দাগী মুহূর্তেরা মহাকালে ইতস্তত।
ধানের বিস্তীর্ণ ক্ষেতি, কার্লি টানেল ও টুলব্রিজ,
রাই-সরিষার মাঠ, পরিত্যক্ত জলার সিরিজ,
কিংবা আরো বিবিধ ফসলি ঘ্রাণ, টঙ-দোকান
চুরুটের টান, এমনকি ঘাটে বোঝাই সাম্পান
ফেলে, কোথা যায় তারা অ-সীবন বস্ত্রে? অনারামে,
দেরাজে কাচানো জামা জমা রেখে, বিনা-‘পিলগ্রিমে’
অক্ষৌহিণীহীন? তারা কি জানে নীরদের লংবিচে
মেহফিল হয়! তাতে নাচে পরীর অনূঢ়া মেয়ে
ওখানে মানুষ উঁকি দেয়? সঘন সেলফি খিঁচে!
জানা নাই, এই প্রোজ্জ্বল আলোর স্টেশান পেরিয়ে
টিকেটবিহীন ভ্রমণে কোথায় গিয়ে তারা থামে,
কে দিয়ে গেছে ওই-ঠিকানা, এসেছে বা কোন্ খামে!
কাফের
এই ঐশ্বরিক কুহক কোথায় তুমি পেলে!
ইস্পাত-প্রপাত ঋজু করে দিলে ইশারায়
ইয়াযুয-মা’যুযের মতো দিনমান খেটে
কেটে যাই ব্যবধির এই দুর্ভেদ্য দেয়াল
তুমিও তাচ্ছিল্যে গ্যালভানাইজ্ড করে নাও
ক্ষীণতর ক্ষণে। কাঙ্ক্ষিত গলনাংক যতো
চিরদিন উদাসীনতার হিমে হেরে যায়
জানি, তিলতুল্য তফাৎ-ও কমে না মো’মেনা
এই দিল দমিতের দণ্ড কি তুমি পাবে না!
আয়নাছুরির নিচে রোরুদ্য গোলাপগুলো
ডাকিছে সতত সকলেরে, ঘ্রাণে – আহবানে
তারও তাহাতে গম্ভীর গোলাপ আরো—-দীর্ঘ
নিম্নগামী তন্তু ধরে টানিছে পাপের শানে
অনবধি এ-অনীহা শেষে দৈবযান তবু
পাতালে তোমারে নেবেই, এড়াতে পারবে না
অন্তরার সাথে গানের স্থায়ীর মতো ঘুরে
ঘুরে দেখা হবে আমাদের—তোমারে দেখিতে
রৌরবেও রাজি যেতে আমি এমনই কাফের!
অজ্ঞেয় অক্ষরের ক্ষার
তোমারে বুঝেছি ভাষারও অধিক, অব্
তবুও থেকে গেছো জন্ম-জাড্যে ;
গ্রীবা বাড়ায়ে দখলে নিয়েছে ভাষা
উৎকট উৎকণ্ঠায় ডুবে থাকা
কোনো জীর্ণ জিরাফ।
মননে-ও নামিছে
মেরুপ্রান্তের
রাত,
দুইপায়ে চেপে ধরে আলোর উদ্ভাস,
কেলায়ে হাসছে একটা কালো কুকুর!
তবুও- পাল থেকে পৃথক হয়ে পড়া
হাতির; ক্ষেত মাড়ানোর মতো
পাতিপাতি করি পৃথিবীর
অগনন অভিধান।
খুঁজি বর্ণমালা,
তোমারে
বর্ণনার। সান্দ্রতা কাটে না, মে
অথচ, ওইসব অজ্ঞেয় অক্ষরের ক্ষা
ক্রমশ ক্ষয় হচ্ছে রক্তনালী, ব্রঙ্কিউল
ভারী হচ্ছে নিকষিত নিকোটিনের
নিয়মিত দানে। অশ্রুত কিছু
আহাজারি, অশ্রুর সাথে
মিশে বাজারি বেশ্যার
মতো ঘুরে ঘুরে
বুমেরাং;
বুকে খোদাই করা মুখে বার্ণিশ