সোমবার, ১৫ মার্চ ২০২১, ০৫:২৯ অপরাহ্ন
কুশল ইশতিয়াকের কবিতা
রাত হলে
রাত নিয়ে কিছু লিখতে আমার ভয় হয়।
যদিও শব্দে শব্দে জমাট অন্ধকার, যেন কেউ এইমাত্র
নিহত হবে
মগজের ভেতর আমি দেখতে পাই। ফুল ফুল গন্ধ—
এই অন্ধকারগুলো, যতো চেষ্টা করি, সরতে চায় না
যতই তাকে ঘষে ঘষে তুলে ফেলার চেষ্টা করি।
অতঃপর একটা ছুরির কথা মনে হয়।
আর রাতকে মনে হয় প্রকান্ড কোনো পাখির পাখা—
অথবা ডেমনিক।
রাত হলে আমি টের পাই, একটা দৈত্য
আমার ভিতরে লুকিয়ে আছে।
আলোর স্কুটার
আলোর স্কুটারে মধ্যরাতে একা বসে আছি
আলোর স্কুটার— আমাকে কোথায় নিয়ে যাও?
তোমার চাকার নিচ থেকে রাস্তা সরে যায়
দ্রুতই তোমাকে ধরে ফেলে এক অন্ধকার!
রাস্তা ছেড়ে তুমি কি এখন চললে আকাশে?
আমাকে কোথায় নিয়ে তুমি দিয়েছ উড়াল?
শনি নাকি বৃহস্পতি,— নাকি পার হয়ে
আরো বহুদূরে তোমার নিশুতি বাড়িঘর?
ওখানে কি আমি রয়ে যেতে পারি চিরকাল?
মুমূর্ষু যে চাঁদ অপেক্ষা করছে আমার—
ভাবি একদিন যাব মৃত প্রেমিকার বাড়ি
জ্যোৎস্নালোকে সে চিহ্ন আমি খুঁজে পাব নাকি?
ছায়াপথ নিহারিকা মিলেমিশে একাকার
দ্রুতই তোমাকে ধরে ফেলে গাঢ় অন্ধকার,
শনির বলয় ভেদ করে—চল দেখে আসি
কোথায় লুকিয়ে তোমার আশ্চর্য বাড়িঘর
চিঠি
কত কিছু যে লেখা হল না, ভাবি
সময় যাচ্ছে, আমিও দ্রুতই যাব
কত কিছুই আমার দেখা হল না।
মহাজগতে যে আশ্চর্য দৃশ্যাবলী
ঘটে,— ঘুরে যায় নিয়তির চাকা
মানুষের এসে কাছে যা যা আমি
শিখেছি , অজানা দেশ পথ ঘুরে
তার কিছুই তো কাউকে বলি নি;
তুমুল অপচয় যেন জন্ম আমার।
সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে, ব্যাগ গুছাতে পারিনি
এমনকি তোমার কথাও কিছু লেখা হল না