সোমবার, ২৯ মার্চ ২০২১, ০৬:৫৯ অপরাহ্ন
অপ্টিমিস্টকে জিজ্ঞেস কর ॥ মূল: জর্জ সন্ডার্স
প্রিয় অপ্টিমিস্ট,
আমার বর ভাল করেই জানে কাপড়ের টুপি পরতে আমি কত্ত ভালোবাসি, তবুও কয়েকদিন আগে ও একটা খোলা ছাদের গাড়ি কিনেছে I ও সবসময়ই এমন চাপা কষ্ট দেয় আমাকে I যেমন, একবার যখন আমার সবগুলো দাঁত পড়ে গেলো, ও আমার জন্য বড় এক ক্রেকার্স জ্যাক্স এর প্যাকেট নিয়ে আসলো I আরেকবার, আমার শরীরের নব্বই ভাগের বেশি অংশ ভয়ংকরভাবে পুড়ে গিয়েছিলো, ও আমাকে চালাকি করে গরম তেলের ম্যাসাজ নিতে দিলো I আর তারপর আমাকে হাইড্রোলিক এসিডের একটা বড় পাত্রে কৌশলে ফেলে দিলো! যাই হোক, ওকে আমি এইসব ‘ভুলবোঝাবুঝি’র জন্য সেই কবেই মাফ করে দিয়েছি I কিন্তু তুমিই বলো এই “কাপড়ের টুপি” বিষয়ে আমি কিভাবে আশাবাদী হই?
ইতি
কাপড়ের টুপি পরতে না পারায় উন্মাদিনী একজন
ক্লিভল্যান্ড, ওহিও
প্রিয় উন্মাদিনী,
তুমি কিন্তু এখনো খোলা ছাদের গাড়িতে কাপড়ের টুপি পরতে পারো! একটু বেশি টুপি লাগবে, এই যা! আমি কী বলি জানো? তুমি একগাদা কাপড়ের টুপি কিনো, ওগুলো গাড়িতে রাখ, আর তারপর গাড়ি চালাতে শুরু করো I যদি একটা টুপি উড়ে যায়, তাহলে রেখে দেয়া টুপি থেকে আরেকটা নাও! এবং ভাব তো, কী আনন্দটাই না হবে যখন গরিব মানুষগুলো গাড়ির পিছন পিছন দৌড়াবে তোমার ফেলে দেয়া উচ্ছিষ্ট টুপিগুলো নিতে! চমৎকার!
প্রিয় অপ্টিমিস্ট,
এবার ছুটি থেকে এসে দেখি আমাদের ঘর ভর্তি হয়ে আছে লেবুতে I মানে পুরো বাসা ভর্তি লেবু! এমনকি বেড়ালটার মুখেও একটা লেবু ছিল! কী করি বলো তো?
ইতি
মহাবিরক্ত
সিয়াটল, ওয়াস
প্রিয় মহাবিরক্ত,
এটা একটা জটিল সমস্যা! আমার পরামর্শ কি জানো? যখন জীবন তোমাকে অনেক লেবু দেয়, তখন তুমি—
- প্রথমত, অনেকগুলো ময়লার ব্যাগ কিনো
- লেবুগুলো সেখানে ভর
- ব্যাগটাকে টেনে রাস্তার কিনারে নিয়ে যাও
- একজন সনদপ্রাপ্ত সাফাইকর্মী ডাক যেন তোমার রোদে পোড়া এই লেবুগুলোকে ঠিকভাবে নিয়ে যেতে পারে
তারপর দেখবে ম্যাজিকের মতোই তোমার ঘর লেবুমুক্ত হয়ে গেছে! তারপর তুমি বাইরে গিয়ে ঠান্ডা পানীয় খেয়ে সেটা উদ্যাপন করতে পারো! ও আচ্ছা, তোমার বেড়াল বাচ্চাটার জন্য একটা চোয়ালের ম্যাসাজ নিতে ভুলে যেও না কিন্তু!
প্রিয় অপ্টিমিস্ট,
আমার বৌ খুবই ভাল ছবি আঁকে; কিন্তু আমার বেলায় একদমই না! ওর ছবিতে আমার পা দুটো বুক আর পেটের অর্ধেক লম্বা হয়, আমার মুখটা দেখতে ব্যাঙের মতো লাগে, আমার পায়ের পাতাটা সরীসৃপের মতো বিভৎসভাবে ছড়ানো থাকে, আর আমার মুখটায় একটা কিম্ভূত চটকালো ভাব থাকে I অন্য যাদের ছবিই ও আঁকে, তারা কিন্তু হুবহু নিজেদের মতোই দেখতে থাকে I আমি এই বিষয়টাকে এড়ানোর চেষ্টা করেছি I কিন্তু কিছুদিন আগে ওর একটা একক প্রদর্শনীতে আমার বন্ধুরা এটা নিয়ে আলোচনা করছিলো আর আমি খুবই অস্বস্তি বোধ করছিলাম I এই বিষয়টাকে আমি কিভাবে আরেকটু ইতিবাচক ভাবে নিতে পারি, বলতে পারো?
ইতি,
ব্যথিত কিন্তু আশাবাদী
টোপেকা, ক্যান্স
প্রিয় ব্যথিত কিন্তু …,
তোমার চিঠি পাওয়ার পর আমি একজন ব্যক্তিগত তদন্তকারীকে ক্যামেরাসহ তোমার বাসায় পাঠিয়েছিলামI এবং ভাব তো কী হয়েছে! তুমি কি ইদানীং আয়নায় নিজেকে দেখেছো? তোমার পা দুটো আসলেই বামনাকৃতির, তোমার মুখটা ব্যাঙের মতো এবং সত্যিই সত্যিই তোমার একটা চটকালো মুখ আছে! সুতরাং… একদম চিন্তা করো না! তোমার বৌ সত্যিই একজন ভালো আঁকিয়ে!
প্রিয় অপ্টিমিস্ট,
আমার খুব কষ্ট লাগে যখন চিড়িয়াখানায় যাইI বন্দি পশুগুলো কেমন মুখ করে বসে থাকেI তুমি কি কোনো পরামর্শ দিতে পারবে?
ইতি
পশুপ্রেমী
প্যাসাদেনা, ক্যালিফ
প্রিয় পশু,
আমি কী বলি জানো, চিড়িয়াখানায় যাওয়া বন্ধ করে দাও! কিন্তু তারপরও যদি একান্তই চলেই যাও, তাহলে বিষয়টাকে এভাবে ভাবতে পারো: এই সবগুলা পশু; গা ভর্তি হয়ে আছে নিজেদের মলমূত্রে, আশেপাশের শুষ্ক ঘাসহীন পরিখার মধ্যে ঘুরাঘুরি করছে, অন্যান্য খাদক প্রাণীগুলো ওদেরকে যে কোনো সময় খেতে পারে এবং হয়তো এতদিনে মরেই যেত যদি বনে থাকতো! সুতরাং তুমি নিজেই ভাব: আমার কি মরে যাওয়া ঠিক হবে, নাকি গা ভর্তি মল নিয়ে থাকা ঠিক হবে অথবা শুষ্ক ঘাসহীন পরিখায় ক্রমাগত বিচরণ করা ঠিক হবে? আমি ঠিক জানি এর উত্তর আমি দিব!
প্রিয় অপ্টিমিস্ট,
কয়েক বছর আগে আমি অসাবধানতাবসত একটা ভুল দেশে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলামI এছাড়াও, সম্ভবত একবার আমি খুব ধীরগতিতে একটি ভয়ানক প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় সাড়া দিয়েছিলামI আমার যে-বন্ধুরা এসব অভিযোগে অভিযুক্ত নয়, আমার ধারণা তারা আমাকে ছেড়ে চলে যাচ্ছেI উপরন্তু, আমি যে-সংস্থাটির দায়িত্বে আছি, হঠাৎ করেই তা অনেক ঋণে ডুবে যাচ্ছেI এখানে এখনো আমার চাকরির আরো দুই বছর বাকি আছেI কোনো পরামর্শ?
ইতি,
মাথায় কিছু একটা চিন্তাযুক্ত
ওয়াশিংটন ডি সি
প্রিয় কিছু একটা যুক্ত,
ঠিক এইভাবেই থেকো! কিচ্ছু স্বীকার করো না! তোমার শত্রুদের অবজ্ঞা কর! আরেকটা যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারো কিন্তু? অথবা অন্য কোনো বুদ্ধি আসছে নাকি মাথায়? মনে হচ্ছে আরেকটু বেশি আশাবাদি হতেই পারতে! কী আর এমন দাম দিতে হতো এর জন্য? তোমার সহকারীকে বলো আমার সহকারীর সাথে যোগাযোগ করতে!
প্রিয় অপ্টিমিস্ট,
কিছুদিন আগে আমার স্ত্রী অন্য একজনের জন্য আমাকে ছেড়ে চলে গেছে I শুধু তাই নয়, অন্য মানুষটি আমার চেয়ে বেশি লম্বা চওড়া, সুন্দর, এবং ধনী ছিল I আর আমার স্ত্রীর মতে, তার পুরুষাঙ্গ আমারটার চেয়ে বড়, এবং তার চমৎকার গানের গলা আর পিঠে কম চুল আছে I সত্যি বলতে কী, আমি এই পরিস্থিতিতে খানিকটা “নেতিবাকক” অনুভব করছি। পরামর্শ?
ইতি,
হতাশাগ্রস্ত কেননা আমার পুরুষাঙ্গ আমার স্ত্রীর নতুন হ্যান্ডসাম প্রেমিকেরটার চাইতে ছোট
ব্রাইটন, মিচ্
প্রিয় ছোট পুরুষাঙ্গ,
তুমি কেন এর ভালো দিকটা দেখছো না? অন্তত সে তোমার চাইতে বেশি উপস্থাপিত বা প্রকাশিত নয়-
প্রিয় অপটিমিস্ট,
ওহ, হ্যাঁ, সে আমার চাইতেও বেশি উপস্থাপনযোগ্য I আমি এটা বলতে ভুলে গিয়েছিলাম I
প্রিয় ছোট পুরুষাঙ্গ,
কোনো ব্যাপার না! আমি তোমাকে পুরোপুরি বিশ্বাস করি! তোমার স্ত্রী নিশ্চিতভাবেই তোমার জন্য ঠিক মানুষটি না এবং এটা মেনে নেয়ার মাধ্যমে-
প্রিয় অপটিমিস্ট,
আসলে, রাল্ফ পাঁচটা ভাষায় কথা বলতে পারে এবং কিছুদিন হলো সামাজিক দায়বদ্ধতার উপর একটা প্রাচীন সংস্কৃত লেখার অনুবাদ করেছে I আর আমি খুব ভালো করেই জানি জুডি আমার জন্যই মানানসই একটা নারীI আমি কখনোই অন্য কাউকে ভালোবাসতে পারবো নাI আমি তারচেয়ে বরং মরেই যাবোI
প্রিয় ছোট পুরুষাঙ্গ,
ওহ! আমি বুঝতে পারছি কেন তোমার বৌ তোমাকে ফেলে চলে গেছে! তুমি তো খুবই নেতিবাচক! এবং খানিকটা একগুঁয়ে!
প্রিয় অপটিমিস্ট,
আমি সেটা জানি, বুঝতে পারছো? জুডিও সবসময় এই কথাটাই বলতোI ওহ! এইভাবে বেঁচে থাকার কী মানে আছে? আমি এখন মরার জন্য তাড়াতাড়ি কাজ করে এমন কিছু ঔষধ খাব … এবং … এবং …
প্রিয় ছোট পুরুষাঙ্গ,
তুমি না আসলে ‘ইতিবাচকতা’ বিষয়টা বুঝতেই পারছো না! ‘ইতিবাচকতা’র মূল বিষয়টা কী বলো তো? সে নেতিবাচক না! আর নেতিবাচকতার অপরিহার্য গুণ কী বলো দেখি? সে খুব বেশি চিন্তা করে, তারপর খুব হতাশাগ্রস্ত এবং অসাড় হয়ে যায়! অনেকটা তোমার মতো, ছোট পুরুষাঙ্গ! আমি, যতটা পারি কম ভাবতে পছন্দ করি এবং ফুর্তিতে থাকি! উত্তেজিত এবং সক্রিয়! যদি কোনো একটা বিষয় আমাকে বিরক্ত করে তাহলে আমি অন্য বিষয় নিয়ে ভাবি! যদি কেউ আমাকে খারাপ কোনো খবর দেয়? আমি তা উপেক্ষা করি! যেমন আমি একজন আশাবাদী মানুষকে চিনি, যাকে কিনা একটা হাঙ্গর খেয়ে ফেলেছিলোI তখন সে কোনো চিৎকার চেঁচামেচি করছিলো না, শুধু জোরে জোরে বলছিল “সবকিছুর পেছনেই মঙ্গল নিহিত আছে”! ভেবে দেখো, কী পরিমাণের একজন আশাবাদী মানুষ! যদিও শেষ অব্দি সে মারা গেছে কিন্তু সে অন্য কাউকে নৈরাশ্যবাদী করে নি ! মানুষটা কী মহান ছিল! আমি সত্যিই তাকে অনেক মিস করি! না না, আমি মিস করি না আসলে! সবকিছুর পিছনেই নিশ্চই মঙ্গল নিহিত আছে! আমি টডকে একদম মিস করি না, যদিও আমরা অল্প সময়ের জন্য হলেও ভালোবাসতাম একে অপরকে এবং আমার কখনোই এতটা ছন্নছাড়া লাগে নি; তুমি নিশ্চই বুঝতে পারছো আমি কী বলছি! সুতরাং নিজেকে মূল্যায়ন করো! এটা এমন কোনো বড় বিষয় না! আমি নিশ্চয়ই এর জন্য এখন সব ফেলে নিস্তব্ধ হয়ে বসে থাকবো না? তাই না বলো ছোটলিঙ্গ? তাই না? হ্যালো! ওহ! বুঝেছি! সে নিশ্চয়ই এখন অন্য কোথাও ঘ্যানঘ্যান করতে গেছে! পরের চিঠি দেখি!
প্রিয় অপ্টিমিস্ট,
আমি এমন একজন ক্ষিপ্ত মা যে কিনা একটি বিশাল দুর্ভিক্ষ-প্রভাবিত অঞ্চলে চারজন ক্ষুধার্ত বাচ্চাকে নিয়ে বেঁচে আছে। বিদ্রোহীরা প্রায়ই পাহাড় থেকে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র নিয়ে নেমে এসে আমাদের অনেককে হত্যা এবং নিপীড়ন করে। এখানকার পুরুষেরা বেশি ভাগই হয় মারা গেছে নয়তো এলাকা ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। এখানে কোনো খাদ্য বা খাবার পানি নেই। আমি খুবই খুশি হব যদি তুমি আমাকে কোনো উপদেশ দিতে পারো।
সার্বিকভাবে আশাবাদী না হতে পারা একজন
আফ্রিকা
প্রিয় আশাবাদী,
অনেক ধন্যবাদ আমাকে লেখার জন্য! সান্ত্বনার কথা এইযে, তুমি আসলে খুবই সংখ্যালঘু একটা গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত! পৃথিবীর সবার সাথে তুলনা করলে, তোমার মতো অল্পকিছু মানুষ আছে! বাদবাকি বেশিভাগ মানুষেরাই ক্ষুধার্ত না বা এমন বিপদের মধ্যেও নেই । সত্যি কথা বলতে কী, তারা হয়তো জানেও না যে তুমি এতো বিপদের মধ্যে আছো। আর তারা এখানে অনেক ভালো আছে, জীবনকে উপভোগ করছে, সব ধরনের আনন্দ তাদের আছে! এই তথ্য কি কোনোভাবে তোমাকে সাহায্য করছে? আমি আশা করি করছে! আর মনে রেখো—দুঃখ সারাজীবন থাকে না! আমি আশা করি শীঘ্রই তোমার দুঃখ কেটে যাবে!
প্রিয় অপটিমিস্ট,
কিছুদিন আগে আমার শশুর তার গাড়ির পেছন দিয়ে আমাকে ধাক্কা দেয়I আমি অভিযোগ করলে সে আবারো আমাকে ধাক্কা দেয়I তারপর আমি গাড়ির চাকার নিচে পড়ে যাই আর সেখান থেকে বিলাপ করতে থাকিI সে তখন গাড়ি থেকে বের হয়ে এসে আমার গায়ে গলিত ধাতব পদার্থ ঢেলে দেয় আর আমাকে একটা পার্কে নিয়ে উঁচু বেদিতে রাখে এবং আমার পায়ের কাছে একটা প্ল্যাকার্ডে লিখে রাখে “অলস”I এর মানে কী দাঁড়ায়? আমি এই পুরো ঘটনাটাকে খুবই ইতিবাচক ভাবে দেখার চেষ্টা করছি, কিন্তু পারছি না কেননা আমার চিবুক চুলকাচ্ছে আর আমি কিছুতেই আমার এই ব্রোঞ্জ-মোড়ানো হাত দিয়ে তা ধরতে পারছি নাI
ইতি,
আমি পার্কপ্রেমী, কিন্তু এটা কিম্ভূত!
ফোর্ট মেয়ার্স, ফ্লা
প্রিয় পার্কপ্রেমী,
ওহ, সত্যি ! ব্রোঞ্জ মোড়ানো হাত? তাহলে এই চিঠি তুমি কিভাবে লিখলে?
প্রিয় অপটিমিস্ট,
উঃ! আমার আরেকটা হাত তো পুরোপুরি ব্রোঞ্জ দিয়ে মোড়ানো না?
প্রিয় পার্কপ্রেমী,
তাহলে তুমি ওই হাত তা দিয়ে চিবুক চুলকাচ্ছ না কেন?
প্রিয় অপটিমিস্ট,
উহ, কেননা আমি ওই হাত দিয়ে আমার কলম ধরে আছিI আর আমি যদি কলমটা ফেলে দেই, তাহলে আমি তো সেটা আর উঠাতে পারব না কারণ আমার শরীরও তো ব্রোঞ্জ দিয়ে মোড়ানো I তখন যদি কবুতর গুলো কলম নিয়ে চলে যায়? যাই হোক, আমার একটা আইডিয়া আছে I কেন তুমি আমাকে আত্মহত্যা করতে বলছো না? দ্রুত কাজ করে এমন কিছু ওষুধ খেয়ে, যখন তুমি আমাকে প্রথমেই বলছো “নেতিবাচক” আর “একগুঁয়ে”?
প্রিয় পার্কপ্রেমী,
আচ্ছা এটা কি তুমি, ছোটলিঙ্গ? আমি ধারণা করছিলাম যে হাতের লেখাটা মিল ছিল! তুমি কি তখন হাতের লেখা নকল করছিলে যখন ওষুধ খাওয়ার কথা বলছিলে? আর, তুমি সত্যি সত্যি ব্রোঞ্জ দিয়ে আবৃত না, তাই না?
প্রিয় অপটিমিস্ট,
ঠিক ধরেছো, তুমি বুদ্ধিমান, আমি মারা যাই নিI আমি ব্রোঞ্জ-আবৃতও না আর আমি হালও ছেড়ে দিচ্ছি নাI সত্যি কথা বলতে কি আমাকে আরো অপেক্ষা করতে হবে এবং জুডি কে ফোনে ধরতে হবেI যদি সে আমার কথা ফোনে শোনে তাহলে আমি ধরে নেব সে—
প্রিয় অপটিমিস্ট,
আমি একটা টার্কির শরীরে আটকে পড়া মানুষ I আমার অল্পস্বল্প মানুষের স্মৃতি আছে, কিন্তু যখন আমি নিচে তাকাই, আমি আমার লাল ঝুটি দেখতে পাই। মাঝে মাঝে যখন এখানে বৃষ্টি হয় আমি তখন একদৃষ্টিতে হা করে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকি I আর ধীরে ধীরে কণ্ঠনালী বৃষ্টির পানি দিয়ে পূর্ণ করিI আমার নিজের প্রতি বিরক্ত লাগতে শুরু হয়েছে, তুমি কি কোনো সাহায্য করতে পারো?
ইতি,
বিরক্তিকর বড় টার্কি
আলবানীর কাছে একটি ফার্ম
প্রিয় বড় টার্কি,
অবশ্যই আমি তোমাকে সাহায্য করতে পারি! তুমি আমার বাসায় চলে আসো ব্যক্তিগত কাউন্সেলিঙের জন্য। বড়দিনের সময়টাতে কি তুমি ফ্রি আছো? তুমি আমার জন্য ওয়েটিং স্পটে অপেক্ষা করো, একটা গাছের গুঁড়ি আর কুড়াল আছে ওখানে! আর তুমি কি এমন একটা মানুষ কে চিনো যে একটা শুয়োরের শরীরে আটকে আছে? আমি তাকেও কাউন্সেলিং করতে পারি! ততদিন পর্যন্ত, তোমার জন্য আমার উপদেশ হলো যত পারো খেয়ে নাও, সবচেয়ে ভালো হয় যদি কিছু ভালো মানের ভুট্টা খেতে পারো! আর তোমার চিবুক উঁচু করে রাখো অথবা মাথার ঝুটি অথবা যা ইচ্ছা তা করো!
প্রিয় অপটিমিস্ট,
আমাকে অষ্টাদশ শতাব্দীতে জীবন্ত কবর দেয়া হয়েছিল I তখন আমি নার্কোলেপ্সি রোগের কারণে দিনের বেলা প্রায়ই ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে থাকতাম এবং আমার পরিবার আমার গাঢ় ঘুমকে মৃত্যু ভেবে ভুল করে I এভাবে দুইশ ছাপ্পান্ন বছর আগে থেকে আমার আত্মা এই ক্ষয়ে যাওয়া শরীরের আর এই বীভৎস ঘটনার মধ্যে আটকা পড়ে আছে I আর যারা আমার জন্য প্রার্থনা করতো তারা অনন্তকালের পথে চলে গেছে I অথচ আমি এখানে নিদারুণভাবে একা, পাশ দিয়ে কুকুর নিয়ে হেটে যাওয়া মানুষের পায়ের শব্দ আর শরতের পাতা ঝরার শব্দে ভীত হয়ে থাকি; অর্ধমৃত অবস্থায় দণ্ডিত আমি যেন কোনো মৃদু অপরাধের চিরস্থায়ী শাস্তি ভোগ করছি যতক্ষণ না পর্যন্ত সময় বয়ে যাবে এবং আমাদের সৃষ্টিকর্তা আমাদের সবাইকে ফিরিয়ে নিয়ে যাবেI তোমার কোনো ভাবনা আছে এই বিষয়ে?
একটি শান্তির মৃত্যুর জন্য অপেক্ষায় থাকা একজন
প্লিমাউথ, মাস
প্রিয় অপেক্ষারত,
তুমি কি কিছু “কঠিন প্রেমের” কথা ভাবছো? মানে, তোমার সময়ে কি এমন কিছু আসলে ছিল? তুমি কি সত্যিই তোমার এই পরিস্থিতি থেকে উঠে আসার কোনো চেষ্টা করেছো? মানে ধরো, তুমি গত কি ষাট সত্তর বছরে কখনো কফিনের ঢাকনা খোলার চেষ্টা করেছ? এবং, যদিও মাটিতে তখন তোমার মুখ ভরে যাচ্ছিলো আর ভয়ংকর অবরোধাতঙ্ক তোমাকে আচ্ছন্নই করে ফেলছিল, তারপরেও তুমি কি মাটি খুঁড়ে উপরে উঠে আসার চেষ্টা করেছো? নাকি সেখানে এমন মনমরা হয়ে কেবল শুয়েই আছো—
প্রিয় অপ্টিমিস্ট,
তুমি আমাকে ভুল বুঝছো I আমি নড়তে পারি না I আমার আত্মা এখনো সচল, আমি ভয় পাই, কষ্ট পাই আর স্বপ্ন দেখি কিন্তু আমি একদম নড়তে পারি না I আমি ভাবছিলাম যখন আমি বলেছি যে আমি মৃত তখন তুমি বুঝবে আমি যা বোঝাতে চাইছি—
প্রিয় অপেক্ষারত,
আমাকে দোষ দিয়ে কোনো লাভ নেই! আমি এমন একটা বেকুব না যার জীবন নার্কোলেপ্সির মতো একটা রোগের কারণে ঘুমে ঘুমে কাটছে! আমি তোমার ঘুমকে তোমার মৃত্যু ভেবে ভুলও করি নি! এমনকি ওই অষ্টাদশ নাকি কোন শতাব্দী ওই সময় আমি তো জন্মাইনি! তুমি বরং ওখানে শুয়েই থাকো আর ভাব সত্যিই তুমি কি চাও!
প্রিয় অপ্টিমিস্ট,
আমি আমার জীবন একজন ফেরেস্তা হিসেবেই শুরু করেছিলাম, কিন্তু একটা ভুলবোঝাবুঝির কারণে আমি একজন পতিত ফেরেস্তা হয়ে যাই আর আমি এখন লুসিফার, শয়তানের রাজা I যদিও আমি জানি আমার কৃতজ্ঞ থাকা উচিত—কেননা আমি আমার নিজের জন্য কাজ করি এবং আমি এই পৃথিবীতে অন্যতম ক্ষমতাধর একজন ব্যক্তি—কিন্তু আমার মধ্যে কিছু বিষয় অনুপস্থিত; যেন আমার কোনো একটা গুণ নেই I আমি যখন ঘুরতে বের হই তখন আমি শুনেছি, মানুষেরা “মহত্ত্ব” নিয়ে কথা বলছিল I সাধারণত যখন আমি এই শব্দটা শুনি তখন আমার খুব খারাপ লাগে আর তখনি আমি তাদের দিয়ে খারাপ কিছু করাই I কিন্তু তবুও এটাতে আমার মন ভরে না I কোনো আইডিয়া?
ইতি,
শয়তান
দোজখ
প্রিয় শয়তান,
এটা খুব পরিষ্কার যে তুমি খুব একা! আমি বলি কি শোনো: প্লিমাউথ, ম্যাসাচুসেটসে ‘শান্তির মৃত্যুর জন্য অপেক্ষায় থাকা একজন’-এর কবরের কাছে যাও। সে খুব একা! তুমিও খুব একা! সত্যিকারে অর্থেই উইন- উইন! কফিনের ভেতরে তার পাশেই তুমি তোমার আস্তানা গাড় I আমার ধারণা সে এটা পছন্দ করবে! অথবা হয়তো করবে না! হয়তো শয়তানের হঠাৎ আগমনে সে ভয় পাবে! ওহ, আমি নিশ্চত না! সে যাই হোক! যা হবে, ভালোই হবে!
প্রিয় অপটিমিস্ট,
খুবই ভালো লাগছে আমার এখন! গত কয়েক বছর যাবৎ তোমার কলামের মাধ্যমে দুর্দান্ত যেসব জিনিস শিখিয়েছো, ওগুলোর সবই আমি আত্মস্থ করেছি! ভীষণ উত্তেজিত আছি!
ইতি,
বাঁচতে পেরে উৎফুল্ল একজন, যে কিনা কখনোই এতো ভালো বোধ করে নি
শিকাগো, ইল
প্রিয় উৎফুল্ল,
চমৎকার! তোমার কি কোনো প্রশ্ন ছিল!
প্রিয় অপটিমিস্ট,
না, সত্যি বলতে ছিল না!
প্রিয় উৎফুল্ল,
তাহলে আর কী! এই কলামের নাম কী হবে? এর নাম কি “অপ্টিমিস্ট এর প্রতি কিছু কথা” হবে? নাকি “এখানে আসুন আর মিস্টার পারফেক্টের মতো আচরণ করুন”? নাকি—
প্রিয় অপ্টিমিস্ট,
কোনো সমস্যা নেই! আমি পুরোপুরি বুঝতে পারছি তুমি কী বলছো! আমি ক্ষমা চাইছি আর আশা করি তোমার দিন অনেক ভালো যাবে! জানো, আসলে আমি এখন নিরিবিলি কোথাও গিয়ে বসব আর আমি যা করেছি তা নিয়ে ভাববো, যেন আমি ভুল কিছু করে থাকলে ভবিষ্যতে তার যেন আর পুনরাবৃত্তি না ঘটাই!
ইতি,
উৎফুল্ল
প্রিয় উৎফুল্ল,
ধ্যাৎ, কী বিরক্তিকর! আচ্ছা, এই এতটুকু জায়গাই যেহেতু বরাদ্দ ছিল, অগত্যা—
প্রিয় অপটিমিস্ট,
আরে ধুত্তরি! জুডি আমার ফোন ধরবে না I আজকের দিনটা আমার জীবনে সবচাইতে খারাপ দিন I
ইতি,
ছোটশিশ্ন
প্রিয় ছোটশিশ্ন,
আমাদের আলাপ খতম! আজকের কলাম এখানেই শেষ! আমি কি তোমার কাজের জায়গায় গিয়ে তোমার সঙ্গে ফাজলামি করি?!
প্রিয় অপটিমিস্ট,
আমি কোনো কাজ করি না! আর এই প্রসঙ্গটা বাদ দেয়ার জন্য ধন্যবাদI এখন কী হবে জানো? তোমার সাথে কথা যা হওয়ার যথেষ্ট হয়েছে। I আমি এখন সরাসরি তোমার বাসায় আসছি I বুঝতে পারছো তো? কেমন লাগে এখন, চালাক মিয়াসাব?
ইতি,
ছোটলিঙ্গ
প্রিয় যে কেউ,
দয়া করে পুলিশ ডাকুন! আমি জানি সব ঠিক হয়ে যাবে! ও খোদা, সে তো চলেই এসেছে! দরজা ভেঙে ঢুকছে! দয়া করে পুলিশ ডাকুন! বাঁচাও! বাঁচাও!
প্রিয় অপ্টিমিস্ট,
কেমন লাগে এখন? মি. সুপারিওর, কেমন মজা বলো তো?
প্রিয় সবাই,
আউচ… আউচ… ও খোদা!
প্রিয় সবাই,
এটা শেষ I অপ্টিমিস্ট আর নেই I শেষ পর্যন্ত আমরা তার উন্মোত্তপনা থেকে মুক্ত হলাম I আর জুডি, তুমি যদি শুনতে পাও তাহলে শোনো, দৈর্ঘ্যই সব কিছু না I আর নিজেকে প্রকাশ করতে পারাই সব না; এবং লম্বা হওয়াটাই বড় বিষয় না I আরেকটা কথা, আমি আমার পিঠের চুল উঠিয়ে ফেলেছি I দয়া করে আমাকে নিরাশ করো না! আমি তোমার চিঠির জন্য অপেক্ষা করবো প্রিয়তমা!
ইতি
ছোটলিঙ্গ ওরফে স্টিভ
প্রিয় ছোটলিঙ্গ, ওরফে স্টিভ,
হাই স্টিভ! কেমন চলছে সব? আমি অপ্টিমিস্টের পরিবর্তে কলামে নতুন যোগদান করেছি! তুমি আমাকে নতুন অপটিমিস্ট হিসেবে ডাকতে পারো! দারুণ! তোমার জন্য আমার পরামর্শ হলো, তুমি পুলিশের কাছে ধরা দাও! জেলে ভালো খাবার দাবার আছে আর তুমি সেখানে ধ্যান করার জন্য যথেষ্ট সময় পাবে, আর কে জানে হয়তো এতে করে তুমি আধ্যাত্মিক গুহ্যজ্ঞান অর্জন করতে পারো আর নিজের গুহ্য থেকে তোমার মাথাটাকে বের করে নিয়ে আসতে পারো! এটা কি এভাবে পালিয়ে বাঁচার থেকে ভালো না? জুডি কখনোই তোমাকে ফেরত নিবে না, কোনোই সম্ভাবনা নেই এবং আমি নিশ্চিত জানি জুডি আমার সঙ্গে সারাজীবন কাটাবে!
ইতি,
বাঁচতে পেরে উৎফুল্ল একজন, যে কিনা কখনোই এতো ভালো বোধ করে নি, ওরফে নতুন অপটিমিস্ট
প্রিয় রাল্ফ, হারামজাদা!
এটা কি সত্যিই তুমি? তুমি মিথ্যুক, বৌ-চোর। দেখো, তুমি আমাকে কতটা নিচে নামিয়েছো। আমি এখন একজন খুনি! আমি অপ্টিমিস্ট কে খুন করেছি! ওহ ঈশ্বর! এমনকি মারা যাওয়ার আগেও তার চেহারা যদি দেখতে; সে চেষ্টা করছিলো প্রশান্তি মাখা হাসি হাসতে!
ইতি,
স্টিভ
প্রিয় স্টিভ,
হুম, বেকুব, এইটা আমি রাল্ফ। আর ভেবে দেখো তো! আমি তোমাকে এই অব্দি ফলো করেছি! আমি ঠিক বাইরেই আছি! তুমি আর কখনোই জুডিকে বিরক্ত করতে পারবে না! আমার কাছে একটা চিঠি লেখা আছে যেটা আমি তোমার শরীরে গেঁথে দিবো যেন সারা দুনিয়া বিশ্বাস করে যে অপ্টিমিস্টকে খুন করার পর তুমি নিজেকেও খুন করেছো! তুমি একটা বেকুব আর অপ্টিমিস্টও একটা বেকুব ছিল! যদি একজন সত্যি সত্যি অপটিমিস্ট হতে চায়, তাহলে একটাই পথ আছে: জয়ী হতে হবে! সব সময়ই জয়ী হতে হবে! উপরে উঠতে থাকো এবং কখনো হেরে যেয়ো না! শত্রুদেরকে মেরে ফেলো এবং তুমি বেঁচে থাকো; যেন তোমার হাতেই ইতিহাস লেখা হয়! বিদায় স্টিভ! রালফের শাসন শুরু! এই তো আমি আসছি! ওহ! তোমাকে অনেক ভীত দেখাচ্ছে! এইতো! শেষ! স্টিভ আর বেঁচে নেই! আমি এখন বাসায় যাবো আর আমার প্রিয়তমা জুডিকে কিছু আশাবাদী ভালোবাসা দিবো! এবং এখন থেকে এই কলাম আমার! সাপ্তাহিক বন্ধে যখন আমি আমার সংস্কৃত বই লেখার কাজ করবো তখন আর এইসব ফালতু কোনো কাজ করতে হবে না!
ইতি,
বাঁচতে পেরে উৎফুল্ল একজন, যে কিনা কখনোই এতো ভালো বোধ করে নি, ওরফে নতুন অপটিমিস্ট
প্রিয় নতুন অপ্টিমিস্ট,
কিছুদিন আগে আমি আমার দশ বছর দাম্পত্য করা স্বামীকে ছেড়ে নতুন একটা মানুষের কাছে চলে এসেছি I যদিও আমার ধারণা আমি ঠিক কাজই করেছি (আমার প্রাক্তন স্বামীর পুরুষাঙ্গ ছোট ছিল, পিঠভর্তি চুল ছিল আর সে ঠিক উপস্থাপনযোগ্য ছিল না)I কিন্তু আমাকে স্বীকার করতেই হবে যে আমার মধ্যে কিছুটা অপরাধবোধ কাজ করে এটা নিয়ে I তোমার কোনো পরামর্শ আছে?
ইতি,
পুরোপুরি সুখী, প্রায় পুরোপুরি সুখী
প্রিয় প্রায় পুরোপুরি সুখী,
এটা নিয়ে ভেবো না! সব ঠিক আছে! আমি বলি কী, যখন তোমার নতুন স্বামী বাসায় আসবে, তখনি তাকে এমনভাবে ভালোবাসবে যেমনটা তুমি তোমার জীবনে আর কাউকে বাস নি! এমন প্রেম তুমি তোমার স্বামীকে দিবে যেটা তুমি ওই বিরক্তিকর পরাজিত স্টিভকে দেওয়ার কথা ভাবতেও পারো নি কোনোদিন!
প্রিয় নতুন অপ্টিমিস্ট,
বেশ! তাই করবো! সত্যি বলতে কী, ও মনে হয় বাসায় চলে এসেছে। দরজায় বেল বাজছে! আমি যাচ্ছি!
ইতি,
পুরোপুরি সুখী, সার্বিকভাবেই!
বি. দ্র. আচ্ছা তুমি কিভাবে জানো যে আমার প্রাক্তন স্বামীর নাম স্টিভ?
প্রিয় সার্বিকভাবেই,
এতো নেতিবাচক হয়ো না তো! জুডি, তুমি কোনো কিছুর শুরুতেই এই কারণেই বিপদে পড়ে যাও! তুমি আসলে একটু বেশিই ভাবো! একটু চুপ থাকো আর আমি যা বলি তাই করো! আমার কথা শোনো! ইতিবাচক হও! নতুন অপটিমিস্ট দীর্ঘজীবী হোক! দরজা খোল জুডি, দরজাটা খোলো প্লিজ! যেন আমরা নতুন সুন্দর জীবন একত্রে শুরু করতে পারি! আর আমার সাথে তর্ক করার কথা ভুলেও ভেবো না, বালিকাটি!
প্রিয় নতুন অপ্টিমিস্ট,
বেশ তো! দারুণ! অনেক ধন্যবাদ তোমার উপদেশের জন্য! ভেতরে এস রাল্ফ! হায় খোদা, তোমাকে দেখতে এমন রক্তিম লাগছে কেন? আর, সোনা, ও খোদা, তুমি হাতে লাঠি নিয়ে আছো কেন?
ইতি,
পুরোপুরি সুখী, সার্বিকভাবেই, যদিও এখন একটু ভীত, ওরফে জুডি
প্রিয় জুডি,
আমাদের আর কোনো সমস্যায় থাকবে না যদি তুমি আমার শ্রেষ্ঠত্ব এভাবে স্বীকার কর যেন আমি সবসময় সুখী থাকি! আর এটা কোনো লাঠি না! এটা একটা ফুলের তোড়া! ঠিক? ঠিক কিনা বল জুডি? হুম, হুম এই এতোখানি জায়গাই আছে আমাদের! তার মানে এই না যে আমি কোনো অভিযোগ করছি! আবার দেখা হবে তোমার সাথে! নিজের সম্পর্কে কোনো সন্দেহ রেখো না I আর যদি কখনো নিজেকে অবনত মনে হয়, ভর্ৎসনা করো I যদি অন্য কেউ বিন্দুমাত্র সন্দেহ পোষণ করে তোমাকে নিয়ে, তাদেরকে তীব্র তিরস্কার করো I তাতেও যদি তারা না থামে, তাদেরকে মারো তুমি, দরকার হলে মরে যাওয়া পর্যন্ত, এমনকি মরে যাওয়ার পর পর্যন্ত তাদের মারো! এবং তাদেরকে ততক্ষণ পর্যন্ত মারতে থাকো যতক্ষণ না তাদের মরা হা-করা মুখটা একটা সুখী আশাবাদী হাসিতে রূপান্তরিত না হয়! আর এইটাই আমার হুকুম! বিশ্বাস করো, তুমি তাদের এভাবেই ভালো করতে পারবে! দুষ্টামি করছিলাম আসলে! তুমি স্পেশাল!
ইতি,
নতুন অপ্টিমিস্ট