মঙ্গলবার, ৩০ মার্চ ২০২১, ০৭:৪১ অপরাহ্ন
রাজীব দত্তের কবিতা
মীরার ভজন
মীরা, যে অর্ধেক ভজন: ভোরবেলায় ফুরিয়ে যায়
মীরার কোনো চোখ নাই। সে সাপের সাথে ঘুমায়
মীরা সাপের গায়ে যে জিভ, দুই ফালি; তার ভিতর নেমে আগুন পোহায়
মীরাই প্রথম আগুন আবিষ্কারক; তার আগুন শীতল
মীরা মদিগ্লিয়ানির জমজ এবং সকালের জারজ
মীরা রাতের বেলা চোখ খুলে রাখে; নকল যোনীর পাশে
মীরা দ্বিখণ্ডিত হয়ে ঘুমায়। আধেক দিনের পাশে আধেক রাতের পাশে
দিনের মীরা হামদ ও নাদ। রাতের মীরা ম্যাণ্ডোলিন
মীরার তিনটা নকল দাঁত। তার একটি আলোর
মীরার অন্ধকার দাঁতগুলো সাপের ঘরের পাশে। মেলে দেয়া
মীরা শ্লেটে সন্ধ্যা সন্ধ্যা মাখে
মীরা কেবলই সন্ধ্যামালতী আঁকে
মীরার আঁকা অর্ধেক। বাকিটা কাকাতুয়া খেয়ে গেছে
মীরা গোপন জামার খাসলত
মীরা ভেঙে ছড়িয়ে দেয়
মীরার শাক্তগীত; এতো ফুল ফুল
মীরা আলোচালে শাদা মিশায় মিশায়
বিকেলে, জলে মীরা কুন্তিকে অনেক ছুঁয়েছে
কলসীর গহ্বরে মোহরে পাশে বেড়ে উঠেছে তার রঙ
লরেন মীরাকে একটুও চিনে না
মীরাও না, দুপুরে শুকোতে দিয়েছে পাতার নাকফুল
পুকুরে মীরা কখনো ডুবেনি
মীরা রেখে দিয়েছে স্নানের জল দূরে অনেক
অনেক মৌমাছি মীরার কলতলায় সাবানঘন
আহা কালো নাকালো হরফ মীরাকে একটু গান
আরো গান, মীরাই গায় ওভাবে দরদ জঙ্গলে
লিটারারি নৌট, খুব সিম্পনি সব মীরার
মীরা দুপুরে আলোয়য় এভাবেই শোয়
মীরা ভোরবেলা আলো ভেঙে ফ্যালে ফেলে
টুকরা টুকরা আলো মীরার সবখানে, জোস্নাতে
মীরাই শ্বাপদ পুষতে জানে আর খেতে দেয়
সুস্বাদু ক্ষণ ছাতু মেখে মধুময়, মীরা দূর থেকে দেখে
মীরা নাহার, কামরুনদের না ছুঁয়েই চিনে
চীনে মীরার কেউই থাকে না, তারপরও মীরা
মীরের গজলের যে লাল তার ভিতর নেমে
পতাকা উড়ায় এবং নিশান, ফুল ফুল যেন আরো মীরা
দাঁড়িয়ে আছে একা মাটির বাঘের পাশে, উনত্রিশটা
দাঁত মীরাকে তৃষ্ণা দেয়, মীরা একলা হয়, হতে শিখে
পাহাড়ের ভিতর শুয়ে শুয়ে মীরা বৈজয়ন্তীর বোন
আঁকা শিখে স্কুলে চারকোলে উবু হয়ে নদে মীরা
প্রচুর এঁকেছে গুহাচিত্র ঘাসের পাশে দাঁড়িয়ে মোহন
বাঁশির কেষ্ট গরু নিয়ে শ্মশানে কেন মীরা ভাবে
ভাবে আফসানার ফুলবোন রেপ হয়ে কেন মাকেই ডাকে
রাতে আরো মীরা স্বপ্নে দেখে দেয়ালের বিম্ব হয় না তবু
নইদ্যার চান্দ আর মহুয়া দেয়ালেই ঝুলে জঙ্গলে মীরা