বৃহস্পতিবার, ১৪ অক্টোবর ২০২১, ০৩:৪৩ অপরাহ্ন
মৃন্ময় চক্রবর্তীর কবিতা
তারার মলম
আরেকটু গভীরে ঝুঁকে দেখো
সন্ধ্যা নদীর জলে কয়েকটা নক্ষত্র পড়ে আছে;
এসো জাল ফেলে তুলে আনি সব।
ঝাঁকে ঝাঁকে ছুটে আসছে অমৃত বাতাস
গা-বাঁচিয়ে চলে এসো ঘরে
তোমার শরীরে মৃতবিষ,
তারার মলম বেঁটে অসুখ সারাবো ভোরবেলা।
জলের উপরে সেই সন্ধ্যার আঙুল
মাঝেমাঝে উৎকন্ঠা এসে ডেকে তোলে,
অপরাজিতার নীল প্রতারণা ধুয়ে মুছে
নেমে আসে বৃষ্টি কবেকার।
তুমি হয়ত সেই গল্পগুলো আর লিখবে না–
তবু দড়ি ছেঁড়া পাগল নৌকো ভেসে যায়
উলু দেয় মালা গাঁথা মাঠের জোনাকি
উঁকি মারে সরবন, গ্রহণের চাঁদ খাতার পরতে এসে
বাসের জানালা মাঠের নাড়া ভেঙে ভেঙে নিয়ে যায়
তোমার কাছে তারপর।
তারপর হীরের বিন্দুর মতো নাকছাবিতে সূর্য বসেছে পাটে
আর সন্ধ্যার জলে আঙুলের দাগ ধুয়েমুছে
পৃথিবীতে মৃত্যু এসে গেছে!
মন হরিয়াল
পদ্মের গালে জলের তিল দেখতেই ভালোবাসি,
আমি তো ফড়িং, মধুকর নই, কবি নই
তবু মৃত্যুর কথা ঘাসের উপর শুয়ে ভাবতে পারিনি।
পালিয়ে যাবার কথা ভাবলেই দুচোখ বড়ো আন্দোলন করে
নিম্নচাপে ভারি হয় গোপন গাছেরা।
যদিও পরিখা খুলছে রোজ শত্রুরা ভেতরে আমার,
ভেঙে ফেলছে যাবতীয় সতর্ক পাঁচিল দিনরাত।
এইসব তবু ভুলে যাই আমি,
দেখি, চন্দনের বাগান থেকে কেমন উড়ে যায় মন-হরিয়াল।