জবা কুসুম

আমিও পেয়েছি খুঁজে হারিয়েছি যাকে, ভিন দেশে জবা ফুল নাম ধরে ডাকে। নাম ধরে ডাকে তারা রাঙ্গা জবা ফুল, সেই ডাকে মন কাঁপে ভাসায় দু‘কুল। দুধ সাদা জবা ফুল হাসিবাসি মন, আমার কুশল যাছে বলে জনে জন। বলে তারা ভিনবাসি পথহারা লোক, দেখেই বুঝেছি ওরে বুক ভরা দুখ। মরিচ জবার পাশে পাখি দুই বাস, জবা কুসুমের পাশে করেছি নিবাস। সাদা সাদা জবা ফুল চোখ ভরা হাসি, নিরলে আমারে বলে আজো ভালোবাসি। এত দূর এসে দেখি চিরচেনা ফুল, আমারে চিনিতে ফুল করে না তো ভুল। 

মুজিব ইরম বলে নিরলে বসিয়া, ভাবিয়া চিন্তিয়া জবা শান্ত রাখে হিয়া।

আদি ও আসল দেশি বই

পুনরায় সভাজনে কিছু কথা বলি, ভাবিয়া চিন্তিয়া শেষে দেশি পথে চলি। লিখিতে চাইছি বই দেশি তালে সুরে, এই কথা লিখে রাখি চেনাজানা ভোরে। দেশি গানে দেশি সুরে খাঁটি রূপে রঙ্গে, এই বই দেশি বই জানা হবে বঙ্গে।

এই বই যেই জন করিবেন ক্রয়, দেশি পদে সেই জন পাঠধন্য হয়। এই বই যেই জন করিবে ধারণ, ভুলে যেতে সেই জন করিবে বারণ। আমদানি নয় কিছু পড়িলে জানিবে, আদি ও আসল বই নিশ্চয় মানিবে। বলিবে বলিবে আরো ধরে জনে জনে, এই বই সেই বই রেখো মনে মনে। রাখিও রাখিও মনে সাঙ্গ হলে পাঠ, কিনিয়া মনের মতো লাগিও মলাট। যতনে রাখিও তারে নহে যথাতথা, মলাটে লিখিয়া দিও সেই জানা কথা। করিও না করিও না এই বই চুরি, উপরে যাহার নাম সেই অধিকারী। কেউ যদি বলে তবে কার বই হয়, উপরে ইরম নাম জানিবে নিশ্চয়।

আমারে ডাকিও তুমি মুজিব মুজিব

জন্মকথা বহু বার লিখিয়াছি আগে, তবুও লিখিতে কথা মনে বড়ো জাগে। যেমত শিশুরা কাঁদে জন্মের পর, জয় বাংলা বলে কেঁদে ভাসিয়েছি ঘর। সকলেই একবাক্যে ভাবাভাবি বাদে, ডাকিলা মুজিব নামে মুষ্টিবদ্ধ হাতে। পিতা হৈতে দিলা নাম মিলেমিশে সবে, বঙ্গবন্ধু ডাকনাম শুনি সেই কবে। জন্মিয়াছি একাত্তরে তাই এই নাম, পেয়েছি পিতার নাম করি নি তো কাম। পেয়েছি নতুন দেশ নতুন উপাধি, মুজিব মুজিব নাম শুনি জন্মাবধি। পোশাকি নামের মাঝে নিজেরে হারাই, এই সব ডাকনাম আগে লিখি নাই। আমারে ডাকিও তুমি মুজিব মুজিব, ভুলি যদি এই নাম কেটে দিও জিব। এই নাম শুনে যেন লিখে যাই বাণী, নামের আছড় পড়ে বলে গেছে জ্ঞানী।

মুজিব ইরম বলে বিনয় করিয়া, রাখি যেন তাঁর মান এ-নাম ধরিয়া। লোকমুখে শুনি নাম আশাবাদী হই, এই বলে করি শেষ দেশি এই বই।