বুধবার, ১০ মার্চ ২০২১, ০৮:৩০ পূর্বাহ্ন
কচি রেজার কবিতা
আত্মহত্যা
আত্মহত্যা করলে তিরিশের আগেই
যখন তীব্র মায়া, তীব্র চিরুনি প্রেম
পরের যাপনে কেবল ব্যাংকের চেক, সঞ্চয় পত্রের কাগজ
বহুবার আমি সিলভিয়া প্লাথ হতে চেয়ে চুল পুড়িয়েছি
কবিতায় লিখেছি সেইসব
এখন আরশির মুখমন্ডলে সুক্ষ্ণ দাগ
পাকা ফলের মতন প্রশ্বাস
বৃদ্ধি নেই
আত্মহত্যার মতন বড়ো কাজ তাই আর করতে পারিনা!
একটিই চোখ
কোনো কোনোদিন ঘুম টেনে লম্বা করি
টানলেই চোখ ভাঙে
অন্ধকারে শোনা যায়
বেড়ালের অন্তরভাঙা কান্না
ঘড়িতে শীতকাল
নখের পরিসরে অল্প কুয়াশা
বৃক্ষাদীর মাথায় গান
বুক ফুরিয়ে গেলে
আর লেখা হয় না মানুষের রচনাবলী
মানুষ আসলে সামান্যই ভলোবাসতে পারে।
চন্দন চন্দন
মা যেন মধ্যবিত্তের দোতলা বাড়ির কাঠের সিঁড়ি
খালিপায়ে উঠি নামি, শব্দ করি
মা নয়, যেন হাত খোঁপায় সামান্য মুখ
অল্প লম্বা বেণি
ছিল হয়ত কারুর বাদল দিনের প্রথম কদম
সারাদিনে কতশতবার যে ডাক দেয়
নিরোজা নিরোজা
একই সংবেদনে
আমিও ডাকি, চন্দন চন্দন!
বাবার আস্তিন
বিষণ্ণতা আবিষ্কার করে সামান্য বিস্মিত, প্রশ্নবিদ্ধও
প্রশ্ন শুনে শিরদাঁড়ায় যৌথ সংঘর্ষ
সংঘর্ষের গন্ধ আছে যেমন আছে বিশ্বাসের
চঞ্চল হই যখন আমি স্নাত
নাচ থেমে গেলে পা-ও চলেনা
যন্ত্রনা মুছবো, বাবা, তোমার জামার আস্তিনে ?