মঙ্গলবার, ১৩ জুলাই ২০২১, ০১:১১ পূর্বাহ্ন
রাজীব চৌধুরী’র কবিতা
দেয়াল
*******
যেকোনো দেয়াল ভাঙার আগে
দেয়ালের ক্ষতগুলোকে খুঁজে বার করা দরকার
এ-পিঠ ও-পিঠ ঠিক কতগুলো পড়েছে দাগ
দাগগুলো কতোটা গভীর অথবা সংক্রামক
হাড়গুলো এখন লোহা রক্ত মাংস কংক্রিট
জলের মুখোমুখি হতে হতে বিবর্ণ হয়ে উঠেছে আকাশ
কখন ফেটে ছিটকে পড়বে বজ্র
কখন ফেটে ছিটকে নামবে জল
এই আকালে দেয়াল ভাঙার গল্প বড় কঠিন
তবু ভাঙতে হয় মাঝেমাঝে, নিজেকে গড়ে তোলার
প্রয়োজনে অথবা অপ্রয়োজনে।
নিজেকে ভাঙতে না-জানলে, বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে পড়ে।
বহিরঙ্গ
*******
চেতনা এক ধরনের তরঙ্গ
অচেতন জল, নিচে তার অগ্নিবলয়, অশান্ত করতল
কোন্ তরঙ্গ কখন বিদ্যুৎরেখায় এসে মিলিত হবে, কে জানে
কতো বাঁক, কতো স্রোত হাওয়ায় মিলিয়ে যায়
মহাশূন্যে তবু ঘূর্ণিপাক হয়
পাকে-চক্রে
পাকের ভেতর থেকে উঠে আসে অন্তরঙ্গ স্রোত
নিস্তরঙ্গ জীবন, ডোবায়, ভাসায়।
স্থবির
*****
এমন ঝাড়া হাত-পা নিয়ে বসে আছো
তুমি কি কঙ্কাল
নাকি মানুষের মতো, কিন্তু মানুষ নও
কঙ্কালের খাঁচার ভেতর
জল নেই, আগুন নেই, শুধু পাথর।
বরফ গলবে কবে?
গজাবে লতাপাতা, শিরায় শিরায় রক্ত
চারিদিকে কাজের মানুষের ভেতর
তুমি অকাজের।
কিন্তু অকাজের মানুষের ভেতর
শুধু কাগুজে নয়।